বৃহস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

৯ দিন পর তোলা হলো তনুর লাশ

প্রকাশিতঃ ৩০ মার্চ, ২০১৬  

2016_03_29_11_00_49_aI3TKufi75occtXgMBsy8xOsszLuay_original নিজস্বপ্রতিবেদকঃ দাফনের ৯ দিন পর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

২৮ মার্চ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনঃময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন কুমিল্লার একটি আদালত। জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

লাশ উত্তোলনের সময় ঢাকা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, এ কাজে দায়িত্ব পাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও বড় ভাই নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কবরস্থানের পাশে মাঠে একটি সামিয়ানা টানানো হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের লোকজন অবস্থান করেন। সকাল থেকে কবরস্থানের পাশে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের বেগ পেতে হয়। যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে তনু হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন সাংবাদিকেদর বলেছেন, ‘তনু হত্যার সঠিক বিচারের জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। আমি মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হবে। অধিকতর আলামত সংগ্রহের পর সেখান থেকে আজই আবার লাশ এনে আগের কবরে দাফন করা হবে।

পরিবার জানায়, গত ২০ মার্চ রাতে তনুকে সেনানিবাস এলাকায় হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় তনুকে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন ২১ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার ১০ দিনেও পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি