বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

না.গঞ্জে ৭ খুন: বিজয় কুমারের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশিতঃ ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  

নারায়ণগঞ্জ: আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় একটির বাদী বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। অপর মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।

সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানি শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঢাকা কাশীমপুর কারাগার থেকে অন্যতম প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাইদসহ মোট ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য থাকলেও সেদিন মামলার অন্যতম আসামি র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে আদালত।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারেক সাঈদ অসুস্থ্যতার কারণে আদালতে হাজির হয়নি। সে কারণে সেদিন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করে আদালত। আজ তারেক সাঈদ অসুস্থ্য থাকলেও তাকে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে সাত খুনের দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী বিজয় কুমার পাল ও অপরটির বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে বিজয় পাল হলেন নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও সেলিনা ইসলাম বিউটি হলেন নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু অভিযোগপত্র থেকে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দি ছাড়া অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেওয়ায় ‘নারাজি’ আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম বিউটি। আবেদনটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জজ আদালতে খারিজ হয়ে গেলে বিউটি উচ্চ আদালতে যান। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, পুলিশ চাইলে মামলাটির ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে পারে এবং ‘হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার’ ধারা যুক্ত করে নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।

গত ১২ নভেম্বর নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর ১৩ নভেম্বর সাত খুনের দুটি মামলাসহ ১১ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ১১টি মামলার মধ্যে সাত খুনের দুটি মামলা, চাঁদাবাজির তিনটি এবং অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলাগুলো রয়েছে।2015_11_13_00_46_09_CodlTAoNX1JMdZZHL566Jx2Xyr9d0u_original