ব্রাক্ষণবাড়িয়া ডাকাত পুলিশ বন্দুক যুদ্ধ নিহত-১, ওসি সহ ৫ পুলিশ আহত
প্রকাশিতঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
নিজস্বপ্রতিবেদকঃ সরাইলে পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের সাথে ডাকাত দলের বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে। হামলা পাল্টা হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রতন (৩০) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে। টহল পুলিশের মাইক্রো বাস (ঢাকা-মেট্রো-ছ-১১-০৬৫৯) কূপিয়ে ভাংচুর করেছে ডাকাত দল। এ ঘটনায় সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।রোববার ভোরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের খাদ্য গুদামের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের সরাইল বড্ডা পাড়া এলাকায় খাদ্য গুদামের সামনে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয় সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত। সড়কের পাশে রাখা ইটা ও সিমেন্টের তৈরী পিলার দিয়ে ডাকাতরা বেরিকেট দেয়। পরে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সড়কে টহলরত একদল পুলিশ মাইক্রোবাস যোগে সেখানে উপস্থিত হয়। ডাকাতরা রাম দা, কিরিজ ও বল্লম নিয়ে পুলিশকে বহনকারী গাড়িটি ভাংচুর করে। পরে ডাকাতদল পুলিশের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে ওসি’র নেতৃত্বে আরো কয়েকজন পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি পাইপ গানের গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ও পাল্টা গুলি চালায়। ডাকাত পুলিশের মধ্যে আধা ঘন্টা চলে বন্ধুক যুদ্ধ। ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে ৩০ রাউন্ড গুলি। আর পুলিশ ছুঁড়ে ৪০ রাউন্ড। তাদের ছুঁড়া মূহুর্মূহু গুলির শব্দে ওই এলাকার লোকজনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় সকলেই আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে পড়ে। বন্দুক যুদ্ধে ৩ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ডাকাত রতন। আহত অপর দুই ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আহত হন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আরশাদ, এস আই আবদুল আলীম, এস আই মোঃ শফিকুর রহমান, কন্সটেবল মোঃ মেহেদী হাসান ও মোঃ মঞ্জু মিয়া। ওসি সহ দুই এস আই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর দুই কন্সটেবলকে ভর্তি করা হয়েছে সরাইল হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডাকাত রতনকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ডাকাত রতন চুন্টা গ্রামের উত্তর পাড়ার গোলাপ মিয়ার ছেলে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আরশাদ সোনারবাংলা৭১.কমকে বলেন, নিহত ডাকাতের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গতঃ গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে একই সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকায় পরিবহনে ডাকাতির সময় টহল পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধ হয় ডাকাত দলের। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় নাসিরনগরের গোকর্ণ গ্রামের ছায়েব আলীর ছেলে ডাকাত আবদুর রশিদ (২৪)। আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।