রূপগঞ্জে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
প্রকাশিতঃ ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ‘দৈনিক প্রথম ভোর’ নামে পত্রিকার সাংবাদিক রাজু আহাম্মেদ (২৪) ও তার সহযোগী কাজল চন্দ্র দাসকে (১৮) পিটিয়ে জখম করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদ আলীর সন্ত্রাসীরা। শুধু তা-ই নয়, অবরুদ্ধ করে রেখে তাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রাজু ও কাজলকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাহেদ আলীকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
আহত রাজু আহাম্মেদ জানান, প্রথম ভোর পত্রিকায় তিনি স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ আলীর বিরুদ্ধে তার পত্রিকায় ‘ডেমরা জিসি চনপাড়া-কামশাইর সড়ক নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট’ শীর্ষক পর পর কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সোমবার বিকেলে সংবাদ সংগ্রহের কাজে তিনি ও তার সহযোগী কাজল চন্দ্র দাস পূর্বগ্রাম এলাকায় যান। এ সময় জাহেদ আলীর নির্দেশে তার লালিত সন্ত্রাসী ভাতিজা মুন্না, নাহিদ, আওলাদ, ফজলউদ্দিন, আলমগীর হোসেন, আলতাফ, রফিকুল, নাছিরউদ্দিন, লাট মিয়া, মতিন মোল্লা, নজরুল, তাহের মিয়া, শফিউল্লাহসহ ২০-২৫ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে রাজু ও কাজলকে অবরুদ্ধ করে বেধড়ক লাঠিপেটা ও কিলঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা রাজু ও কাজলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় তারা বলে, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদ আলীর বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে ওই সাংবাদিককে হত্যা করা হবে। পরে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবরুদ্ধ রাজু ও কাজলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
প্রথম ভোর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ‘জাহেদ আলীর বিরুদ্ধে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও লুটপাটের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কোনো কিছু বোঝার আগেই আমার পত্রিকার সাংবাদিকের ওপর এভাবে হামলা চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।