মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জাকার্তায় সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৬

প্রকাশিতঃ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬  

সোনার বাংলা৭১.কম ডেস্ক:ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে; কাছাকাছি সময়ে ছয়টি স্থানে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি বিস্ফোরণের পেছনে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা থাকতে পারে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে জাকার্তার কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, জাতিসংঘ কার্যালয়ের কাছে এবং সারিনা শপিং মলের বাইরে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

ওই এলাকায় পরপর অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জেরেমি ডগলাস নামে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই শুরু হয় গোলাগুলি।

বিস্ফোরণস্থল থেকে দেড়শ মিটার দূরে নিজের অফিসের দশ তলার জানালা থেকে রাস্তার আতঙ্ক এবং পুলিশের তৎপরতার ছবি তুলে তিনি টুইটারে পোস্ট করেন।

একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় স্টারবাকসের একটি ক্যাফেতে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় ওই ক্যাফের জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসে বলে রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী জানান।

আর শহরের প্রধান সড়কে সারিনা মলের সামনে বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি পুলিশ পোস্ট।

হামলা শুরুর পরপরই পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। কাউকে কাউকে অস্ত্র হাতে গাড়ির পেছনে অবস্থান নিতে দেখা যায়। উঁচু ভবনগুলোতেও অবস্থান নেয় পুলিশ।

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র অ্যান্টন শার্লিয়ান সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য, বাকি তিনজন বেসামরিক নাগরিক।

ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানও ওই এলাকায়। হামলা যখন চলছে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুদহার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বৈঠক চলছিল বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

প্যারিসে আইএস এর জঙ্গি হামলার দুই মাসের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার এ হামলার পেছনে কারা রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তবে জঙ্গি হুমকির কারণে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মুসলিম দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছিল।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।

২০০৯ সালে ম্যারিয়ট ও রিটস হোটেলে হামলার পর জাকার্তায় এটাই সন্ত্রাসী হামলার সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে একই সঙ্গে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ ধরনের সমন্বিত হামলা সেখানে এই প্রথম।

স্থানীয় মেট্রো টিভির বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি অন্তত ১৪ জন অস্ত্রধারী এই হামলায় অংশ নেয় বলে পুলিশের ধারণা।

ইন্দোনেশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে। বালির এক নাইটক্লাবে সেই বোমা হামলায় ২০২ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক।