ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ২০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ
প্রকাশিতঃ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ২০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণসহ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার ফেনা পুষ্করিণীর জমিদার মিয়ার ছেলে আবুল বাশারের (৪৫) নেতৃত্বে তিন যুবক তার মেয়েকে গত ১৪ ডিসেম্বর অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে করে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
“পরে অপহরণকারীরা আমার মোবাইলে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মেয়েকে উপর্যুপরি ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে আঘাত করে নির্যাতন চালায়।”
ছাত্রীর এক ভগ্নিপতি জানান, অপহরণের ১৬ দিন পর ৩০ ডিসেম্বর বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার ও পরদিন আরও ৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর ২ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে ফেনী শহরের মহিপাল এলাকায় ফেলে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তাকে ছাগলনাইয়া উপজেলায় নাসরিন নামে এক নারীর বাসার অন্ধকার ঘরে দুই হাত বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছিল।
“অপহরণকারী বাশার, তার শ্যালক ছোট্ট মিয়া ও নাসরিনের স্বামী নূর আলম এবং কয়েকজকন যুবক নিয়মিত ধর্ষণ করত। তারা লাঠিপেটাসহ বিভিন্নভাবে মারধরও করত।”
বাসার মালিক নাসরিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করে বলে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন।
নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছারোয়ার জাহান বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনও দু-এক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।
আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ছাগলনাইয়ার পশ্চিম দেবপুরের ছরু মিয়ার ছেলে ছোট্ট মিয়া (২৬), আবুল বাশারের স্ত্রী হাসিনা আক্তারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।
মামলার পর আট দিন চলে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তবে ফুলগাজী থানার ওসি মাইন উদ্দিন সোনার বাংলা৭১.কমকে জানান, ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নেওয়ার পাশাপাশি আসামিদের ধরতে ফুলগাজী থানার পুলিশ ছাড়াও ছাগলনাইয়া ও পরশুরামের পুলিশও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আসামিরা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে বলে ওসি জানান।