সৌদি আরবে নতুন বছরের শুরুতেই এক বিদেশি নারীরসহ ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল
প্রকাশিতঃ ১১ জানুয়ারি, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সৌদি আরবে এক বিদেশি নারীর শিরশ্ছেদ ও ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল । ওই নারী ছিলেন ইথিওপিয়ার নাগরিক এবং সৌদিতে তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। রোববার তায়েফ অঞ্চলে গৃহকর্ত্রীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গতবছরের জানুয়ারিতে ওই নারীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড রায় দিয়েছিল এক সৌদি আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছিল।
২০১৩ সালে দায়িফের মুসাইলাত গ্রামে গৃহকর্ত্রী দামতি ফরিদের মাথায় কুঠার দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেছিলেন ওই গৃহকর্মী। স্থানীয় আদালতে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার পর ৩০ বছরের ওই নারীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করা হয়।
দেশটিতে শিরশ্ছেদ কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগে গত বুধবার খুনের ঘটনায় আরো এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। এ নিয়ে জানুয়ারিতে মাত্র ১০ দিনের মাথায় ৫০ জনের শিরশ্ছেদ করা হল।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ‘সন্ত্রাসবাদের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত ৪৭ জনের শিরশ্ছেদ করেছিল সৌদি আরব। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল নিমর। তার মৃত্যুদণ্ডের জের ধরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে রিয়াদ।
২০১৫ সালে বিভিন্ন অপরাধে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল সৌদি সরকার। মানবাধিকার-বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া তথ্য মতে, দেশটিতে গত দুই দশকের মধ্যে গতবছরই সবচাইতে বেশি সংখ্যক শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটেছিল। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে মাত্র ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে দেশটিতে সর্বোচ্চ ১৯২ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়।
অ্যামনেস্টির তথ্য অনুযায়ী, গতবছরে ইরান ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। খুন, মাদকদ্রব্য পাচার, সশস্ত্র ডাকাতি, ধর্ষণ ও ধর্মত্যাগের মতো অপরাধেও সেখানে শিরশ্ছেদ হয়ে থাকে।