মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ইরানের নালিশ

প্রকাশিতঃ ১০ জানুয়ারি, ২০১৬  

রানে শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিমর আল-নিমরের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে ইরানের বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের ‘উস্কানি মূলক’ আচরণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ করেছে ইরান।

শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের কাছে লেখা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের চিঠি প্রকাশ করে।

চিঠিতে জারিফ লেখেন, মনে হচ্ছে রিয়াদের ‘কিছু মানুষ’ পুরো অঞ্চলকে সংকটের মধ্যে টেনে নামাতে চাইছে।

২ জানুয়ারি সৌদি আরবের শীর্ষ শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ইরান।

ইরানের একদল বিক্ষোভকারী তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব।

ওই অঞ্চলে সৌদি আরবের মিত্র দেশগুলোও ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জারিফ বলেন, চলমান উত্তেজনা বাড়ানোর ‘কোনো ইচ্ছা ইরানের নেই’।

বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায় তিনি সৌদি আরবের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেন, এ বিষয়ে ইরান কোনো ধরণের সমঝোতা করবে না।

“তারা (সৌদি আরব) চরমপন্থি জঙ্গিদের সমর্থন জানানো এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উস্কানি দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে অথবা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই দুইটির মধ্যে একটি পথ তাদের বেছে নিতে হবে।”

জারিফের অভিযোগ, আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে এবং হজের সময় ইরানের হজযাত্রীদের সঙ্গে ‘ক্রমাগত দুর্ব্যবহারের’ মাধ্যমে সৌদি আরব সরাসরি শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরান সরকারের বিরুদ্ধে ‘উস্কানি মূলক’ আচরণ করছে।

আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেছিল সৌদি আরব। তাদের অভিযোগ, ইরান বরং নিজেদের ওই অঞ্চলের শিয়া সম্প্রদায়ের মাথা মনে করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করছে।

চিঠিতে জারিফ লেখেন, “আল কায়দা, তালেবান, ইসলামিক স্টেট এবং নুসরা ফ্রন্টের অধিকাংশ সদস্য সৌদি নাগরিক অথবা তেল বেঁচে অর্থের মালিক হওয়া নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া।”