মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু সেতুতে দুর্ঘটনায় মন্ত্রীপুত্রসহ নিহত ৯

প্রকাশিতঃ ০৯ জানুয়ারি, ২০১৬  

Next
কুয়াশার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের ছেলেসহ নয়জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৪৫ জন।

কুয়াশায় ব্যাহত ফেরি চলাচল

শনিবার সকালে সেতুর পূর্ব প্রান্তে বাস-ট্রাক এবং পশ্চিম প্রান্তে বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের মধ্যে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ সোনার বাংলা ৭১.কমকে বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৪টি যানবাহন একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কা লাগায়।”

দুর্ঘটনাস্থল থেকে মন্ত্রীর ছেলে শরীফ রানা (৩৫) কে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

মন্ত্রীর জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্ সোনার বাংলা ৭১.কমকে বলেন, তারাও রানার মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।

রানা পাবনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইলের হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন বলে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন জানিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে চার সংবাদকর্মীকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- সময় টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি রিংকু কুণ্ডু, মাছরাঙা টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি রিফাত রহমান, চ্যানেল আই’র ক্যামেরাপারসন আশরাফ আলী এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন নাজমুল ইসলাম।

প্রকৌশলী আজাদ বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেতুর পূর্ব প্রান্তে ৩০ ও ৪০ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে।

“পাবনা থেকে ঢাকাগামী সরকার পরিবহনের একটি বাস সেতুর ওপর ঢাকাগামী একটি গরুর ট্রাককে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় আরও দুটি বাস ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।”

এই দুর্ঘটনায় চার বাসযাত্রী নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হন বলে জানান প্রকৌশলী আজাদ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রথম দুর্ঘটনাটির কারণে সেতুর একটি লেইনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। তখন পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরানোর কাজ করছিল।

সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী ওয়াসিম আলী জানান, “এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পশ্চিম পাড়ে সেতুর ওপর ৩০ থেকে ৩২ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ঢাকাগামী হানিফ, ন্যাশনাল পরিবহন, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ও অ্যাম্বুলেন্সসহ আরও ১৬টি যানবাহন পরপর ধাক্কা লাগে।”

এই দুর্ঘটনায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে রানা আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। পরে লাশ স্বজনরা হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান।

এই স্থানে আরও চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আখেরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের লাশ থানায় এবং ২ জনের লাশ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু (পশ্চিম) থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, উদ্ধার কাজ চলার সময় দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর ৫ জন এবং সংবাদ সংগ্রহে আসা চার সংবাদকর্মী আহত হন।

দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলে দুপুর ১টার পর থেকে সেতুর উপর দিয়ে যানবা