মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

৭৮৬ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে বিজিবি

প্রকাশিতঃ ০৪ জানুয়ারি, ২০১৬  

অভিযান চালিয়ে গত এক বছরে ৭৮৬ কোটি ৭২ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি বিদায়ী বছরের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৭৮৬ কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়।

চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে দুই হাজার ২শ’ ১৬ জন আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৪শ’ ৯২ জন বাংলাদেশিকে নাগরিক আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর সীমান্ত পথে ৬ হাজার ৫৯২ জন মিয়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ (পিআরও) কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা।

তিনি জানান, দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৬ বোতল ফেনসিডিল, ১০ কেজি হেরোইন, ১০ হাজার ১৯৬ কেজি গাঁজা, ৩ লাখ ৯ হাজার ৭৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ৬ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৭ পিস বিভিন্ন প্রকারের উত্তেজক ট্যাবলেট, ৫৫ হাজার ৪৮০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ২ কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৪২৮ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।

এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১,৫৪,২০১টি শাড়ি, ৪৪,৭৩৫ টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৮,১৪,২৪৭ মিটার থান কাপড়, ৫৬,৮৭০টি তৈরি পোশাক, ৩৯,৩৬৪ সিএফটি কাঠ, ১,৭৫,৮৯৯টি বিভিন্ন প্রকারের যন্ত্রাংশ এবং ২২ কেজি ৩২৯ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৩৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।

উল্লেখ্য, গত বছরে বিজিবির অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬৭টি পিস্তল, ৪০টি বন্দুক, ৫৪টি বিভিন্ন প্রকারের বোমা ও ককটেল, ৪০৪৩ রাউন্ড গুলি, ৬৩টি ম্যাগাজিন, ২৯টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এবং ৪৪ কেজি ৯০০ গ্রাম গান পাউডার।

গত এক বছরে বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২১৬ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৪৯২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর সীমান্ত পথে ৬৫৯২ জন মিয়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।