মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ডায়াগনস্টিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ‘কিট’, দালালের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড

প্রকাশিতঃ ২৮ আগস্ট, ২০২৪  

বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুরের বিরামপুরে অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ কিট রাখার অপরাধে তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া রোগীদের সঙ্গে দালালি করার অপরাধে দুই যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল রাখি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শাহারিয়ার পারভেজ, বৈষম্যবিরোধী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাবিল (২৭)। সে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ঝগড়ুপাড়া এলাকার মোজাফফর রহমানের ছেলে এবং একই উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের কঞ্চিগাড়ি এলাকার জাফর আলীর ছেলে মোজাফফর (৪০)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর পৌরশহরের বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে মানহীন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিল এমন অভিযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিরামপুর বেস্টন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার, বিরামপুর রনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার এবং ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।এ ছাড়া ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই দালালকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওন বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীকে মানহীন রোগ নির্ণয় পরীক্ষার প্রলোভন দেখানোর অপরাধে দুই যুবককে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদনহীনভাবে পরিচালনা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কিট রাখার অপরাধে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।