মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮০আলামত জব্দ, নিস্ক্রিয় ৬ বোমা

প্রকাশিতঃ ০৯ জুন, ২০২৪  

অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোনা জেলা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামের ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডুয়েট) এর সাবেক প্রফেসর প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নানের বাড়ি থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের আলামত উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ। 

টানা ৩০ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে অসংখ্য বিস্ফোরক দ্রব্য, বিদেশি পিস্তলসহ জঙ্গি প্রশিক্ষণের ৮০ টি আলামত উদ্ধার করে। এসময় ছয়টি ইমপ্রোভাইড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করে এন্টি টেরোরিজম টিম। শনিবার দুপুর থেকে শুরু করে অভিযান শেষ হয় রবিবার সন্ধ্যায়। জানা গেছে, গত ৬ জুন অস্ত্র মামলার আসামি মো. হামিম হোসেন ফাহিম ওরফে আরিফ (৩২) নামের এক যুবক নরসিংদীতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আরিফ পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার মাঝিবাড়ি এলাকার সেলিম মিয়ার পুত্র, নেত্রকোনার দেওপুর ভাসাপাড়া ঠিকানায় ভাড়া থাকতেন। পরে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই থানার মাধ্যমে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম খোঁজ নিয়ে প্রকৌশলী আব্দুল মান্নানের বাড়ি তল্লাসি করেন। তল্লাশিকালে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু আলামত পায়। 

এরপর পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই বাড়ি ঘেরাও করে রাখে শনিবার দুপুরে। ঘিরে রাখা প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে বাড়িটি সন্দেহজনক হওয়ায় এন্টিটেরোরিজম ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুল্লাহ চৌধুরী একটি টিম নিয়ে পরিদর্শন করে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পান।

শনিবার দুপুর থেকে চলা অভিযানের পরবর্তীতে রবিবার সকালে ঢাকা থেকে আসা এন্টিটেরিরিজম টিমের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সোয়াট, বোম ডিস্পোজাল টিমসহ মোট তিনটি টিম টানা অভিযানে নামে। বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় ভেতরে ৫ টি ও বাহিরে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রীয় করা হয় আইইডি। সেখান থেকে ৮০ ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করে। 

অভিযানে উপস্থিত থেকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন প্রেস ব্রিফিং করে সকল তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভেতরে পরিদর্শন করে উন্নত মানের জিমনেশিয়াম পাওয়া গেছে। যা সচরাচর কোন জিমেও ব্যবহার হয় না। এছাড়াও অনেকগুলো বাথরুমসহ ভেতরে ফিশারির জায়গা পরিদর্শন করে ধারণা করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো প্রশিক্ষণ নিতে পারে। তাছাড়াও ঘরে রান্না করা খাবার দেখে ধারণা করা হচ্ছে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার না খেয়েই পালিয়ে গেছে। তাদের কাছে উন্নতমানের দুটি দুরবীন ছিলো। এছাড়াও সিসি টিভি ক্যামেরা দারা বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ ছিলো।