ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার পরও চলছে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা
প্রকাশিতঃ ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধি: রানীশংকৈলে লাইসেন্স না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা হওয়া একটি ইটভাটায় আবারও ইট প্রস্তুতের কাজ চলতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও তিন দিনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেশপুর আর এম এস বিক্সের ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চলছে। শ্রমিকেরা আগুন ধরে রাখার জন্য কয়লা ব্যবহার করছেন। পাশেই ভাটার শ্যালোমেশিন চলছে।
শ্রমিকেরা বলছেন, ভাটা চালু হয়েছে শনিবার। ইউএনও এসেছিলেন, ইটভাটার অনুমোদন না থাকায় জরিমানা করেছেন। তবে ইটভাটা বন্ধ করতে বলেননি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই দুটি ইটভাটাসহ উপজেলার প্রায় ২৬টি ভাটার কোনটির লাইসেন্স নেই।
গত শনিবার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান উপজেলা মহেশপুর এলাকার আর এম এস বিক্স ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে ইটভাটার লাইসেন্স না থাকার অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘ইটভাটাটি যদি এখনো চলমান থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে আজ মঙ্গলবার,(৫ডিসেম্বর)পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এ দিকে ওই এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান বলেন, ‘ইউএনও এসে লাইসেন্স না থাকার জন্য জরিমানা করলেও লাইসেন্সহীন ইটভাটাটি এখনো চলমান। লাইসেন্স নেই জন্য ইউএনও জরিমানা করল অথচ ইটভাটাটি এখনো চলে কি করে?’
তিনি প্রশাসনের কাছে এটি বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়। তাহলে আমরা এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব।’
আর এম এস বিক্সের স্বত্বাধিকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুলতান বলেন, ‘ইউএনও এসে জরিমানা করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমিত সাপেক্ষে ইটভাটায় আগুন দেওয়া হয়েছে।’
ভাটার লাইসেন্স নেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ভাটারই তো লাইসেন্স নেই, ওগুলো কীভাবে চলবে?’
অনুমতির বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোনো ইটভাটায় আগুন দিয়ে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। লাইসেন্সবিহীন কোনো ইটভাটা যদি চলে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’