বগুড়ায় ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা,ঘাতক স্বামী গ্রেফতার
প্রকাশিতঃ ১১ অক্টোবর, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শেফালী বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী এশারত আলী আকন্দ।
শনিবার(১০অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচথুপি-সরোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে সেলিম রেজা জানান, তার বাবা এশারত আলী আকন্দ একজন বাঁশ শ্রমিক। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরী করেন এবং তা বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু করোনাকালে তার পণ্যগুলো বিক্রি কমে যাওয়ায় পরিবারে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এজন্য সংসারের প্রয়োজনে প্রায় দু’মাস আগে কল্যাণী বাজার এলাকার স্থানীয় একটি এনজিও থেকে স্ত্রীকে দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেন এশারত। ওই ঋণের বিপরীতে সপ্তাহে তাদের ৩০০ টাকা কিস্তিু দিতে হয়।
সেলিম রেজা বলেন, সোমবার ওই এনজিও’র ৩০০ টাকার কিস্তি রয়েছে। এজন্য শনিবার রাতে বাবাকে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেন মা শেফালী বেগম। এসময় তাদের দু’জনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। পরবর্তিতে তারা দু’জন একসঙ্গে নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে যান। রাত আনুমানিক ১টার দিকে মায়ের চিৎকারে আমিসহ পরিবারের অন্যান্যদের ঘুম ভাঙে। আমরা মায়ের গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পেয়ে ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে রক্ত গড়িয়ে আসতে দেখি।
এসময় দরজা খোলার জন্য বাবাকে তাগাদা দিলে সে আমাদের জবাই করে হত্যার ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আমরা চাচা ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের ডাকতে গেলে আমার বাবা এশারত আকন্দ কৌশলে পালিয়ে যান।
ধুনট থানার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কৃপা সিন্ধু বালা জানান, শেফালী বেগমকে বাঁশ কাটার দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমরা শেফালী বেগমের জবাই করা মৃতদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দ্রুত অভিযান চালিয়ে শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকার বগুড়া বাজার থেকে শেফালী বেগমের ঘাতক স্বামী এশারত আলী আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ঘাতক এশারত আকন্দকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।