ভারত নয় বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানী করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা
প্রকাশিতঃ ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক,খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে, সেটিকে ৩০ লাখ টন করার জন্য কাজ করছে সরকার।
তিনি রোববার ( ৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনার তীরে নির্মানাধীন ষ্টিল সাইলোর নির্মানকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, যখন দেশে চালের ভাল উৎপাদন হয়, সেক্ষেত্রে আমদানি পরিমাণ কম হয়। তবে ঘাটটি পূরণের জন্য মাঝে মধ্যে আমদানি করতে হয়। এবারে বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এ জন্য আমরা খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলো আমদানি করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এর মধ্যে মূলত ভারত থেকে। দ্বিতীয়ত সরকার টু সরকারের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের মধ্যমে। এর মধ্যে মায়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানি করব। এছাড়া থাইল্যান্ড, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার সরাসরি ওই দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করে চাল আমদানি করবে।
ভারত থেকে চাল আমদানি খরচ তুলনামূলক কম হয়, অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে কিনা ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সাথে মিলিয়ে ফেলি না। ভারত থেকে চাল কিনলে তুলনামূলক ভাবে খরচ কম পড়বে। এ জন্য দেড় লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া আছে। আমরা আশা করি সে চাল দ্রæত আসবে।
পাশাপাশি আমরা একক কোনো একটা দেশের উপর নির্ভর করবো না। যেহেতু আমাদের খাদ্য ঘাটতি আছে, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করব। আমরা সে চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আমরা একসাথে দেখছি না, বাণিজ্যকে আমরা বাণিজ্যিকভাবে দেখছি।
গম উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন গম। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। গম চাষে জমিগুলো এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বাহির থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাতে আমদানী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ সময় উপদেষ্টার সাথে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল খালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক সহ খাদ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।