সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

 ঈদের রাতে জোড়া খুন, মোটর শ্রমিক নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিতঃ ২০ জুন, ২০২৪  

বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া সদর উপজেলায় ঈদের রাতে জোড়া খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ ও মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ ১৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান।  

নিহত শরিফ (১৮) ও রোমান ওরফে রুম্মানের (১৭) মধ্যে শরিফের মা বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ার হেনা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে। এ ছাড়া মিঠুর ভাই বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু, তার তিন ভাই, বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শাহ মেহেদী হাসান হিমুকেও আসামি করা হয়েছে।  

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি কবির আহম্মেদ মিঠু (৬০), আজবিন রিফাত (১৯), একই এলাকার নাঈম হোসেন (২৮) ও শেখ সৌরভ (২৬)।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া শহরের নামাজগড়-হাকির মোড় নির্মাণাধীন রাস্তায় সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুর প্রাইভেটকারের সঙ্গে রোমানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এসময় প্রাইভেটকারে টিপুর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে ছিলেন। মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে সেখানে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত ১২টার দিকে রোমান ও শরিফকে বাসা থেকে নিশিন্দারা চকরপাড়ায় জাহিদ মিয়ার বাড়ির সামনে ডেকে নেওয়া হয়।  

রোমান ও শরিফের সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু ছিলেন। তারা সেখানে আসামাত্রই মিঠু ও তার ভাই সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এসময় তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে রোমান ও শরিফকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের বন্ধু হোসাইন (১৮) পালিয়ে যান।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার করা চারজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷