ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে ‘ভোট দেওয়ার চাপ
প্রকাশিতঃ ০২ মে, ২০২৪
সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে ‘ভোট দেওয়ার চাপ’ প্রয়োগ করছে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার অপর ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ২৮ এপ্রিল ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এই অভিযোগ লিখিত আকারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী ৩ জন হলেন- হুমায়ুন কবির (চশমা প্রতীক), ভানু চান্দ্র দেব (মাইক প্রতীক), শাহজাহান চকদার (টিয়া পাখি প্রতীক)
তিন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহম্মেদ কামরুল হুদা টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তার পক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয় ও নিজ অফিসে বসে নির্বাচনের কাজ, নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ করছেন। এই প্রার্থী বিভিন্ন মসজিদে অনুদানস্বরূপ ভোটারদের ওয়াদাবদ্ধ করে নগদ ১০ হাজার টাকা দিচ্ছেন। প্রার্থী বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এনামুল হুদা সুমনের নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ ভোটারদের কাছে টিউবওয়েল মার্কার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট চায় এবং তিনি এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমতাবস্থায়, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কিনা এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অভিযোগকারী ৩ জনের একজন চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মৌখিকভাবে বলেছি। নির্বাচন অফিস থেকে জানিয়েছে, লিখিত দেওয়ার জন্য। লিখিত আকারে দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জেলা অফিস থেকে বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানোর কথা বলা হয়েছে। পরে মোবাইল নম্বর নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রিটার্নিং ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানকে ফোনে জানিয়েছি। এত জায়গায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসে ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে টিউবওয়েল মার্কা প্রার্থী আবু আহম্মেদ কামরুল হুদাকে সর্তক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে লিখিত আকারে সর্তক বা আচরণবিধি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না, প্রশ্ন করা হলে এই কর্মকর্তা জানান, এগুলা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেখছেন।