ফসলি জমিতে পুকুর খনন’ ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা
প্রকাশিতঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
অপরাধ প্রতিবেদক,বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তির ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত ইউনুস আলী পৌর এলাকার বৈলগ্রাম গ্রামের মৃত লছেল উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের ডেরাহার করিতলা বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে ইউনুস আলী তার ফসলি জমি এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করছিল এবং মাটি বিক্রি করছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবীর অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৪ জনকে আটক পূর্বক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(ছ) ধারা লঙ্ঘনের ১৫(১) ধারা মোতাবেক জমির মালিক ইউনুস আলীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে একই জমি কেটে পুকুর খনন চেষ্টার অপরাধে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক্সেভেটর চালককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছিলেন তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো, রায়হানুল ইসলাম।
অপরদিকে, একই দিন দুপুর সারে ১২টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনবাঘা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে পন্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘনের ১৪নং ধারায় ওয়াইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপজেলার রণকুড়ি গ্রামের মকিম উদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফসলি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকর খনন দন্ডনীয় অপরাধ। এমন অপরার করার কারনে জমির মালিক কে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও রনবাঘা বাজারে এক ব্যক্তির ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।