মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জমিতে বসে ইয়াবা সেবন, ছদ্মবেশে পুলিশ গিয়ে করলো গ্রেপ্তার

প্রকাশিতঃ ২৩ মার্চ, ২০২৪  

নিজস্বপ্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জীবন এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি উপজেলার হরিপুরের একটি জমি থেকে ছদ্মবেশে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আসামিকে ধরার পরই অন্যরা পালায়। এক পুলিশকে কামড়ায় আসামি। কোনোভাবেই সে আসতেও চাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে কাঁধে করে তাকে তুলে আনা হয়।

সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) রূপন নাথ আরো একজন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছে। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের পক্ষে গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে পানি চাওয়া হয়। অবস্থা বুঝে তখন জীবনকে আটক করেন পুলিশ সদস্যরা। পড়ানো হয় হাতকড়া। পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্য ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। এরপরও তাকে আনা যাচ্ছিল না। পরে এএসআই মো. কামরুল তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছু দূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।

এস আই রূপন নাথ বলেন, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধূর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেবলেন,তিনি জানান, জীবন ডাকাত খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিল না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।