নদীর তীর থেকে বালু কেটে বিক্রি
প্রকাশিতঃ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা নদী তীরের বালু কেটে অবাধে বিক্রি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ও বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গান্দাইল ও সাতুরিয়া এলাকায় যমুনা নদীর তীর থেকে রাত-দিন বালু কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র। এতে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বসতভিটা।
ওই এলাকার আলাল শেখ, জহির উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছরে যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে নদী তীরবর্তী চার-পাঁচশ বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙন কবলিত মানুষেরা আরিচা- জাফরগঞ্জ বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছেন। বেড়িবাঁধটি দেওয়ার কারণে ওই এলাকায় নদী ভাঙন অনেকটা কমে গেছে।
এখন নদীর তীর থেকে বালু কেটে বিক্রি করায় আগামী বর্ষা মৌসুমে ফের নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে। এতে বেড়িবাঁধসহ আশপাশের এলাকা নদীতে চলে যেতে পারে। বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পায় না। কেউ অভিযোগ করলে তাঁকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বালু ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, অনেককে ম্যানেজ করেই তিনি নদী
থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন। মাঝেমধ্যে
প্রশাসন অভিযান চালালে তখন বালু কাটা বন্ধ রাখতে হয়। তবে এসব অভিযানের খবর বালু ব্যবসায়ীরা আগেই পেয়ে থাকেন। এজন্য তাদের তেমন ঝামেলা হয় না।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ তাঁকে অভিযোগ দেয়নি। উপজেলার যমুনা নদী তীর থেকে বালু কেটে বিক্রি করলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।