নার্সিং কলেজের ৩ শিক্ষক বরখাস্ত
প্রকাশিতঃ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক: প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বগুড়া নার্সিং কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযোগ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) অধিভুক্ত কলেজগুলোর আজকের পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এর আগেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আনোয়ার হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যদিও রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- বগুড়া নার্সিং কলেজের আবদুল বারী সরকার, মোস্তানুর সুলতানা ও গুলনাহার খাতুন।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার জন্য রামেবিতে প্রশ্নপত্র তৈরির সময় তারা তিনজনই ছিলেন। গত ১৭ জানুয়ারি প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। এরপর ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি রামেবির নিজস্ব পরিবহনে এই অঞ্চলের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ভল্টে ভল্টে প্রশ্ন পাঠানো হয়।
এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রামেবি সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর খুলনা বিভাগের সব সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং কলেজ রামেবির অধিভুক্ত হিসেবেই পরিচালিত হয়। তিন বিভাগের ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। এর আওতায় নার্সিং কলেজের সংখ্যা ৪০টি। এর মধ্যে ২১টি কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ নার্সিং (পোস্টবেসিক) এবং বিএসসি ইন মিডওয়াইফারি (পোস্টবেসিক) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ৪ ফেব্রুয়ারি। এসব কোর্সে প্রথম ও দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। প্রথমবর্ষে বিষয় রয়েছে আটটি, আর দ্বিতীয় বর্ষে ৮-১০টি। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭০০। তবে সবার পরীক্ষাই স্থগিত করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে থাকা রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের গাফিলতিতে এর আগেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব নিয়ে গতানুগতিক তদন্ত হলেও কখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এ বিষয়ে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হাবিব কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক এজেডএম মোস্তাক হোসেন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি তদন্তে এবার খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই কমিটি করে দিয়েছে। এতে রামেবির প্রতিনিধিও রাখা হয়েছে। এখন ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। আর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব পরীক্ষা স্থগিতই থাকবে। আপাতত আর কিছু বলা সম্ভব নয়।