সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মৃত অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গোসলের সময় ‘জীবিত’ ভেবে আনা হলো ঢামেকে

প্রকাশিতঃ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪  

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মৃত এক অন্তঃসত্ত্বাকে গোসল দেওয়ার সময় ‘জীবিত’ ভেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তার স্বজনরা। তবে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মোরশেদা আক্তার রিনা (৩৫) নামে ওই নারীকে মৃতই ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ঢামেক হাসপাতালে মোরশেদার স্বামী এসকান্দার মাতব্বর সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।  

এস্কান্দার-মোরশেদা দম্পতি শরীয়তপুর জাজিরা পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের জামাল মাতুব্বর কান্দির বাসিন্দা। তাদের সংসারে তিন ছেলে আছে।  

এস্কান্দার বলেন, আজ সকালে মোরশেদা বাথরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই হাসপাতালেই ফ্যামিলি প্লানিংয়ে মোরশেদা চাকরি করতো। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোরশেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে তার মরদেহ বাসায় নিয়ে গিয়ে কাফন-দাফনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী গোসলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।  

এস্কান্দার দাবি করেন, খাটিয়ায় থাকা মোরশেদাকে গোসল করানোর সময় হঠাৎ নারীরা দেখতে পান, শরীরে পানি ঢালার সঙ্গে সঙ্গে মোরশেদার পশম দাঁড়িয়ে আছে। পরে তাদের চিৎকারে বাসায় থাকা লোকজন অক্সিজেন মাপার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করে, এতে মোরশেদার শরীরে অক্সিজেন লেভেল ৫০-৬০ দেখা যায়।

এরপর সবার সহযোগিতায় সন্ধ্যার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে মোরশেদাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। তবে এখানকার চিকিৎসকরা জানান, মোরশেদাকে মৃত অবস্থায়ই আনা হয়েছে হাসপাতালে

ঢামেকের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, মোরশেদা নামে ওই নারীকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

মৃত নারীর শরীরে অক্সিজেন থাকার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, অসম্ভব। যে কোনো মানুষের মৃত্যু হলে শরীর থেকে সঙ্গে সঙ্গেই অক্সিজেন চলে যায়। মেশিন দ্বারা কখনোই তার অক্সিজেন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এটা পরিবার যদি দাবি করেও থাকে, তাহলে ভুল দেখেছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীর মরদেহ নিয়ে স্বজনরা সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে আবারও গ্রামের বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।