মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফসলী জমি থেকে অনবরত মাটি নিচ্ছে ইট ভাটায়

প্রকাশিতঃ ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩  

বিশেষ প্রতিবেদক:নেত্রকোণার মদনে ফসলী জমি থেকে অনবরত মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটায়। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। যত্রতত্র ভাবে মাটি নেওয়ায় পিচ রাস্তায় জমছে মাটি, উড়ছে ধুলো। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় ঘটে দূর্ঘটনা।ইট ভাটা’র আশেপাশের এলাকায় গাছে ফলছে না আগের মতো মৌসুমি ফল। এতো কিছুর পরেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।

কাইটাইল বাজার ঘেঁষে গড়ে ওঠা আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স ও মেসার্স আকীক ব্রিক্স এ দুটি ইট ভাটায় পুড়ছে অনবরত ইট। উপজেলায় ৫ টি ইট ভাটা রয়েছে। সরজমিন গেলে প্রত্যেকের একই বক্তব্য সব কাগজ পত্র আছে। কিন্তু কাজ দেখাতে বললে কোনো ইট ভাটার দায়িত্বশীলরাই কাগজ দেখাতে পারেননি।

একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দু’একটি ইট ভাটায় প্রশাসনের দোহাই দেওয়ায় বিষয়টি আরো ঘনীভূত হয়েছে। 

আলী আকবর, সূরুজ্জামান, কুদ্দুছ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষক জানান, কয়েক বছর ধরে মান্নী হাওর ও ইট ভাটার আশপাশে থাকা ফসলী কৃষি জমি ও বয়রালা নদীর পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে দু’টি ইট ভাটায়। ইট ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। 

এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াহেদ জানান, আমার ইট ভাটায় মাটি কোথা থেকে আসছে কিভাবে আসছে আমি জানি না। যারা মাটি দিচ্ছে তারা তা জানে। মাটি কেনার চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি এই মাত্র আপনার মাধ্যমে জানালাম। সরজমিন গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম. আরিফ জানান, ফসলী জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় দেওয়ার সময় (১৯ ডিসেম্বর) দু’জনকে আটক করে হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, সরকারের অনুমোদন বিহীন কেউ যদি বেকু দিয়ে মাটি কাটে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।