যৌতুক না পেয়ে বিয়ের আসর থেকে চলে গেল বর
প্রকাশিতঃ ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি: রীতি অনুযায়ী গেট সাজিয়ে কনের বাড়িতে করা হয় বিয়ের আয়োজন। যথাসময়ে বরযাত্রী আসে সেখানে। আত্মীয়স্বজনদের খাওয়াদাওয়া শেষে কাজি বিয়ে পড়াতে শুরু করবেন; এমন সময় বাধে যৌতুকের টাকা নিয়ে বিপত্তি। টাকা না পেয়ে বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বরের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে বর চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও তাঁর বাবাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি কনের বাবার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বামনগাঁও গ্রামের মো. হাসেন মিয়ার বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ঠিক সময়মতো বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সোনারবাংলা৭১.কমকে নিশ্চিত করেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম। তিনি জানান, আজ দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ ওঠা বর হলেন কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের মো. শরীফ মিয়ার ছেলে মো. হাসেন মিয়া (২৫)। কনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, এক সপ্তাহ আগে হাসেন মিয়ার সঙ্গে বটতলা গ্রামের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। ওই সময় কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গতকাল বিকেলে এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার সময়মতো বরের সঙ্গে ৪০ জন আসেন। খাওয়াদাওয়া শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বরের পক্ষ থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিতে কনের পরিবার অস্বীকার করলে বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীর লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান। এই ঘটনায় আজ দুপুরে ওই কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও তাঁর বাবাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই লাখ টাকা খাওয়াদাওয়া ও ডেকোরেশনে খরচ হওয়ার কথা কনের বাবা অভিযোগে উল্লেখ করেন বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে বর হাসেন মিয়ার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর মামা সবুজ মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি মূলত ভুল-বোঝাবুঝির। আজ দুপুরে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। বর ও কনে পক্ষের লোকজনের মধ্য সমঝোতা হয়েছে।’ আজ রাতে বিয়ে করাতে বরকে নিয়ে ওই কনের বাড়িতে যাবেন বলে সবুজ মিয়া জানান।