জামাইকে ডেকে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা স্ত্রী-শাশুড়ির
প্রকাশিতঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক:নেত্রকোনার মদনে জামাইকে ডেকে নিয়ে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত সোমবার সকালে মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের বারোরী সুতীয়াপাড় গ্রামে ঘটে। অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন (৪০) কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পাচহার গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, ৬ বছর আগে কেন্দুুয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের এখলাছ উদ্দিনের সঙ্গে জেলার মদন উপজেলার বারোরী গ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর এখলাছ মালয়েশিয়া হয়ে সৌদি আরব চলে যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার রোজগারের সমস্ত টাকা স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে টাকা পয়সার হিসাব চাইলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। রোববার রাতে মুক্তা ফোন করে এখলাছকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে খাওয়ার পর ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে কৌশলে তার হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক
পরে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকও ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজনের মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে এখলাছকে বলতে শোনা যাচ্ছে বিদেশের আয়ের ৫/৬ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার স্ত্রীর কাছে ছিল। দেশে এসে টাকা উদ্ধারের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সেখানের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছেও বিচারপ্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোথাও বিচার পায়নি। রোববার স্ত্রী তাকে ডেকে নেয়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে স্ত্রী শাশুড়িসহ অন্যরা মিলে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখলাছের ভাই আনিছ মিয়া জানান, তার প্রায় সারা শরীরের পুড়ে গেছে। তার পাষণ্ড স্ত্রী ও শাশুড়ি শরীরের আগুন ধরিয়ে ক্ষান্ত হয়নি পরে তারা লাঠি দিয়েও আঘাত করেছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে আইসিউতে নেয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা গেলে বোঝা যাবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন-এমনটাই তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তাওহীদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়েছিলাম। ঘটনাটি শ্বশুরের বসতঘরের ভেতরেই সংঘটিত হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা করা হবে।