মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নিখোঁজের ৫ দিন পর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিতঃ ১২ নভেম্বর, ২০২৩  

জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর অটোরিকশা চালক মো. মুরাদ হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ একটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ মো. সজিব নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।

শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আন্ধার মানিক গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালক মুরাদ হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মুরাদ দক্ষিণ আন্ধার মানিক গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ীর আজাদ হোসেনের ছেলে। পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক হলেও সেই (মুরাদ) মাঝেমধ্যে তার বাবার অটোরিকশা চালাতো।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে মুরাদ অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে খুঁজে তার সন্ধান মিলেনি। ৮ তারিখ দুপুরে তার প্রতিবেশী সজিব ও আবুল কালাম আজাদের নাম উল্লেখ করে নিখোঁজ মুরাদের মা মরিয়ম বেগম তার ছেলের সন্ধান চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নামে পুলিশের কয়েকটি টিম। সর্বশেষ (আজ) শনিবার দুপুরে মুরাদের বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার উত্তরে একটি ধান ক্ষেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন-জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা, সদর মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন ওমর ইবনে ভুলু।

নিহত মুরাদের চাচা সেলিম মাঝি ঢাকা মেইলকে বলেন- মুরাদ গত মঙ্গলবার রাত থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয়। ওইরাতে মুরাদকে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন করে ডেকে নেয়। তখন মুরাদের সঙ্গে তার বন্ধু সজিব ও উপস্থিত ছিল। ঘটনার পর থেকে মুরাদের বন্ধু সজিব গ্রামে থাকলেও আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু আত্নগোপনে চলে যায়।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন ওমর ইবনে ভুলু ঢাকা মেইলকে বলেন- নিখোঁজের পরেরদিন বুধবার সকালে মুরাদের পরিবার আমার কাছে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিই। আজ দুপুরের পর মুরাদের মরদেহ একটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়।

চেয়ারম্যান ভুলু আরও বলেন- এ আন্ধার মানিক গ্রামে প্রায় বিভিন্নসময় অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। দুই বছর আগে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়।কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যক্রম চালু হয়নি। এজন্য অপরাধ দিন-দিন বেড়ে যাচ্ছে। দ্রুত পুলিশ ফাঁড়িটি চালু করার জন্য জোর দাবি করেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন ঢাকা মেইলকে বলেন- নিখোঁজের পরেরদিন পরিবারের পক্ষ মুরাদের নিখোঁজের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের পর থেকে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। আজ দুপুরে নিখোঁজ মুরাদের মৃতদেহ স্থানীয় একটি ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় গ্রামবাসী। ধারনা করা হচ্ছে অটোরিকশার জন্য ছিনতাইকারীরা মুরাদকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয়। জড়িত সন্দেহ মুরাদের বন্ধু সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত আবুকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।