সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গোডাউন থেকে টিসিবির ৭৭৯ কেজি চাল উদ্ধার

প্রকাশিতঃ ০৫ অক্টোবর, ২০২৩  

জেলা প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর রামখানা ইউনিয়নে ফ্যামিলি কার্ডের তেল, ডাল ও চাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে―এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে এক ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে টিসিবির ৭৭৯ কেজি চাল উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক আহমেদ।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামখানা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের গোডাউন থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়।

এ সময় টিসিবির উদ্ধারকৃত চাল রামখানা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের হেফাজতে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। পরে শরিফুর রহমান নামের একজন ডিলারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আনা হয়। পরে গোডাউন মালিক রফিকুল ইসলামের নামে নিয়মিত মামলা এবং শরিফুর রহমানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গোডাউন মালিক রফিকুল ইসলাম রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা খলাইটারী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

অভিযোগ রয়েছে, রামখানা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন প্যানেল চেয়ারম্যান রহমত আলী, ডিলার শরিফুর রহমানসহ পাইকার খলিল ও রফিকুল মিলে টিসিবির তেল, ডাল আর চাল বিক্রি করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতেন। গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রকৃত কার্ডধারীদের পণ্য না দিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেয় ওই সিন্ডিকেট। বস্তায় ভরে এসব পণ্য পাইকারদের নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এসব পণ্য পাইকার রফিকুল ইসলামের গোডাউনে জমা করতে থাকেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অভিযানের খবর পেয়ে গোডাউন থেকে তেল ও ডাল সরিয়ে ফেলেন রফিকুল ইসলাম। চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং ডিলার মিলে এক বছর ধরে এসব পণ্য বিক্রি করে আসছেন।

এ ব্যাপারে রামখানা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে রামখানা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারের একটি গোডাউন থেকে ৭৭৯ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

গোডাউন মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড গিয়ে ৭৭৯ কেজি চাল জব্দ করেছেন। আর ডিলারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কিছু নিয়মতান্ত্রিক ভুল থাকায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।