আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণা,অবশেষে টাকা ফেরত ভুক্তভোগীরা
প্রকাশিতঃ ০৭ মে, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধি:নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে আত্মসাৎ করা দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় ভুক্তভোগী পাঁচ নারীরা হাতে টাকা তুলে দেন। টাকা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার করা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ মে ভুক্তভোগী সাত নারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্তপূর্বক প্রতিকারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রথমে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীদের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে শুক্রবার (৫ মে) সকালেই দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ওই নারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সংবাদ প্রচার করেছেন। বিষয়টি খোলাসা করতেই মূলত প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
টাকা ফেরত পাওয়া পাঁচ নারী হলেন- লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী আসমা বেগম, ছাইফুল হোসেনের স্ত্রী ইঞ্জিরা বেগম, মৃত হাসমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম, মৃত আবেদ আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মৃত তারা মিয়ার স্ত্রী হাবিয়া বেগম।
অর্থ ফেরত পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে ভুক্তভোগী নারীরা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি টাকা উদ্ধার করে দিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত পেয়ে তারা খুশি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তবে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। একটা মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে নারীদের দিয়ে তার বিরুদ্ধে আশ্রয়ণের ঘরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। নিজের ও দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ নারীকে অভিযোগের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে কোনো টাকা লাগে না। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগী নারীরা টাকা ফিরে পেতে তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। মূলত: সরকারি দায়িত্ব অনুযায়ী প্রতারণার শিকার নারীদের অভিযোগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের টাকা ফেরত পেতে তিনি সহায়তা করেছেন মাত্র। শুক্রবার সকালে তার অফিসে ডেকে ওই নারীদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।