ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে জোর করে মেয়েকে বিয়ে অবশেষে জরিমানা গুনলেন বাবা
প্রকাশিতঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধি:রাজবাড়ীর পাংশায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৬) বিয়ে দেওয়ায় তার বাবা আক্কাস মোল্যাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে অবস্থান করাসহ পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গিকার নিয়েছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল)দিবাগত রাতে পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামের আক্কাস মোল্লার মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে জোর করে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে রাত ৯টায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও পাংশা মডেল থানার পুলিশ ফোর্সসহ ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। মেয়ের অভিভাবক মেয়ের বয়স ১৯ বছর বলে দাবি করলে তাৎক্ষনিক অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের কপি যাচাই করে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপিত জন্ম নিবন্ধন সনদটি পুরোপুরি ভুয়া।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে বাড়ি তল্লাশি করে মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মডেল টেস্টের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়। তাতে ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ৪ মাস। পরে অভিভাবক হিসেবে মেয়ের বাবা আক্কাস মোল্লা ১৮ বছর বয়স হওয়ার পূর্বে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৮ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে অবস্থান করাসহ পড়ালেখা চালিয়া যাওয়ার বিষয়ে আক্কাস মোল্লার কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নজরদারী করার জন্য বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রাতেই ধর্মমতে বিবাহ সম্পন্ন করা স্থানীয় মোল্লাপাড়া মসজিদের ইমাম বারেক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, মোবাইল ফোন বন্ধ করে পলাতক রয়েছে।’
এ সময় তিনি আশেপাশে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়াসহ বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ ও জাতি গঠনে সহায়তার আহ্বান জানান।