কৃষিজমিতে চলছে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির ধুম
প্রকাশিতঃ ০৬ এপ্রিল, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক: শিবালয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষিজমিতে চলছে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির ধুম।কাজ বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও আবার দুদিনের মধ্যে পুনরায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়,দিনরাত অবাদে চলছে পুকুর খননের কাজ। দেখার যেন কেউ নেই। তিন-চার মাস ধরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। এতে উপজেলায় ফসলি জমি কমেছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর। শুধু কৃষিজমিই কমছে না, মাটি কাটার ট্রলি চলাচলের কারণে সড়কেরও ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে কৃষিজমি নষ্ট করা বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিবালয়ের শিমুলিয়া ইউনিয়নের মহাদেবপুরের শাহীনুর রহমান,দক্ষিণ শাকরাইলের দেলোয়ার হোসেন, শিমুলিয়া ও ফলসাটিয়া মহাদেপুরের তারেক রহমান, উলাইল বাবুর চালায় আসলাম মোল্লা, উথলী ইউনিয়নের বাশাইল আবদুল রহমানসহ ২০ থেকে ২৫ জন মাটি ব্যবসায়ী উলাউল ইউনিয়নের কয়ড়া, মাগুরাইল, জমদুয়ারা, শিবালয় ইউনিয়নের পাটুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করছে।
কৃষিজমিতে পুকুর খননে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না জমির মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা। এর ফলে একদিকে যেমন কমছে কৃষিজমি, তেমনি কমবে শস্য উৎপাদন। জমির মালিকরা সাময়িক লাভের আশায় পুকুর খনন করছেন। প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা না থাকায় কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমির এমন ধ্বংসযজ্ঞ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মাটি ব্যবসায়ী শাহীনুর রহমান জানান, অনেককেই ম্যানেজ করে এ ব্যবসা করছি।আসলাম মোল্লা বলেন, কিছু যুবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটরসাইলের তেলের জন্য ৫০০-১০০ করে টাকা নেয়। তাদের টাকা না দিলে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে ভেকু ভেঙে দেয়। আবদুল রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, গ্রামের রাস্তাঘাট নষ্ট করে ট্রাকে মাটি আনা-নেওয়া করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, মাঝেমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মাটি কাটার ভেকু ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অবৈধভাবে কেউ মাটি কাটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।