সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিতঃ ২৭ মে, ২০২১  

অনলাইন ডেস্ক: শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাসুদ রানা বলেন, উপজেলায় মোট ৪৪৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ভেঙে পড়া বাঁধগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধের কাছাকাছি শক্ত মাটি না থাকায় সংস্কার করা যাচ্ছে না। পানি নেমে গেলে বাঁধ পুননির্মাণ করা হবে।

সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর, আশাশুনি, তালা, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ছাপিয়ে পানির তোড়ে ভেসে গেছে নিন্মাঞ্চলের বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার মাছের ঘের। বুধবার ভেঙে যাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় সেসব পয়েন্ট দিয়ে জেয়ারের পানি প্রবেশ অব্যহত আছে। কাছাকাছি শক্ত মাটি না থাকায় বাঁধ সংস্কারে দেরি হবে বলে পাউবোর অফিস সূত্র জানায়।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার দুপুরে নদ নদীতে ৫/৬ ফুট উচ্চতার বেশী জোয়ার সৃষ্টি হলে পানির চাপে শতাধিক বাঁধ ভেঙে ও ছাপিয়ে মাছের ঘের ফসলের ক্ষেত ও বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করে। এতে লক্ষাধিক পরিবারের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ইছামতি, কালিন্দি ও কাকশিয়ালি নদীর অস্বাভাবিক পানির চাপে উপজেলার রতনপুর, মথুরেশপুর, কুশলিয়া ও ভাড়া শিমলা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০০টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ হাজার পরিবার। প্রকৃত ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ ঠিক করতে আরো দুই এক দিন সময় লাগবে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের পর থেকে নদীর পানি বেড়িবাঁধ ওভার ফ্লো হয়ে ৭ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে বাঁধ উপছে নিন্মাঞ্চলে প্রবেশ করে। পানিতে নতুন করে উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীপুর,কুড়িকাহনিয়া, কল্যানপুর, নাকনা, সোনাতনকাঠি, মাদারবাড়িয়া, দৃষ্টিনন্দন, আনুলিয়া, নাংলা, দক্ষিন একসরা, বামনডাঙ্গা, নড়েরাবাদ, কেয়ারগাতি, নড়েরাবাদ, কেয়ারগাতি একালা প্লাবিত হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র দ্বিতীয় দিন আবারো কয়েটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় সেখান থেকে নদীর পানি হু হু করে ঢুকছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ঝড় ইয়াস-এ চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে ১৬৫০ হেক্টর চিংড়ী ঘের, ৯০ হেক্টর জমির ফসল, সম্পূর্ণভাবে ২৬৫ ঘরবাড়ি, আংশিক ৪৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ১৯০ মিটার বাঁধ ভেঙেছে এবং ১১ কিলোমিটার বাঁধ ছাপিয়ে এলাকায় পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।