অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ জঙ্গি সংগঠনের নব্য জেএমবির ৪ সদস্য গ্রেফতার
প্রকাশিতঃ ০৭ নভেম্বর, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন। এ সময় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা উপস্থিত ছিলেন।
<গ্রেফতারকৃতরা হলেন নব্য জেএমবির আইটি শাখার সদস্য তানভীর আহম্মেদ ওরফে আবু ইব্রাহিম (২৫), নব্য জেএমবির মিডিয়া শাখার প্রধান জাকারিয়া জামিল (৩১), নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য আতিকুর রহমান (২৮) ও নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য আবু সাঈদ (৩২)।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি দেশি তৈরি ওয়ান শুটার গান, দুটি কার্তুজ, তিনটি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, একটি চাপাতি, এক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য (পটাশিয়াম ক্লোরেট), দুটি লাল টেপ, চারটি ব্যাটারি, কিছু পরিমাণ তার ও কিছু উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তানভীর আহম্মেদ ওরফে আবু ইব্রাহিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের ছাত্র। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকার আশুলিয়াস্থ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক উগ্রবাদী বই, ইলেকট্রনিক ও ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তিনি পলাতক আসামি। তিনি ড্রোন তৈরির মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া জানান, ‘ওই জঙ্গিরা নাশকতার উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চন্ডিহারার একটি ফাঁকা মাঠে জড়ো হয়েছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নব্য জেএমবির সক্রিয় কর্মী হিসেবে স্বীকার করে এবং এখানে মিটিং করে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করতে চাচ্ছিল বলে জানিয়েছে।’
এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, হায়দার আলী মন্ডল, সনাতন চক্রবর্তি, সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির, ডিবির ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।