মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চার নারীকে লাঞ্ছিত করল পুলিশ!

প্রকাশিতঃ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬  

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছি থানা পুলিশের হাতে কয়েকজন নারী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দোনইল গ্রামে গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোনইল পূর্বপাড়া জামে মসজিদের নামে গ্রামের মাঠে ৩৪ শতক ডোবা সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তি মসজিদ কমিটি এক বছর মেয়াদী ইজারা দিয়ে আসছিল। গত ২০১৪ সালে গ্রামের রকেট নামে এক ব্যক্তি সম্পত্তিটি এক বছর মেয়াদী ইজারা নেন। ইজারা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রকেট হোসেন সম্পত্তির দখল ছাড়ছিল না। রকেটের নানা ওয়াজেদ আলী সরদার জাল দলিল সৃষ্টি করে মসজিদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করছিলেন। গ্রামবাসীরা এ ঘটনাটি জানতে পেরে বৈঠক করে মসজিদের ডোবাটি সেচকাজ করার উদ্যোগ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে মসজিদ কমিটির কর্তা ব্যক্তিরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ডোবাটি সেচকাজ করছিলেন। দুপুরে দিকে হঠাৎ করেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচকাজ করতে বারণ করে। পুলিশের সঙ্গে প্রতিপক্ষের বাচ্চু নামে এক ব্যক্তিকে দেখে গ্রামবাসীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। গ্রামের নারীরা সেখানে এগিয়ে এলে থানার সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) খাইরুজ্জামান সেখান থেকে তাঁদের চলে যেতে বলেন। তখন ফুলি বেগম নামে নারী এএসআই খাইরুজ্জামানকে গালিগলাজ করেন। খাইরুজ্জামান ফুলি বেগমকে লাঠি দিয়ে মারপিট করতে থাকে। আঞ্জুয়ারা খাতুন, বেনুফা বিবি (৪৫), ডালিম বিবি ফুলি বেগম রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে এএসআই খাইরুজ্জামান তাঁদেরও মারধর করেন।
আঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, এএসআই খাইরুজ্জামান আমাদেরকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারপিট করেন। এসময় অন্য নারী-পুরুষেরা আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে এএসআই খাইরুজ্জামান পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হন। তখন অন্য পুলিশ তাঁর কাছ থেকে পিস্তলটি কেড়ে নেয়। ওয়াজেদ আলীর পক্ষ নিয়ে এএসআই খাইরুজ্জামান আমাদের মারপিট করেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ফিরোজ সরকার বলেন, গ্রামের রকেট নামে একব্যক্তি এক বছর মেয়াদী ডোবাটি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। তিনি ডোবাটি নিজের দাবি করেছিলেন। পরে রকেটের নানা ওয়াজেদ আলী জাল দলিল সৃষ্টি করে ডোবাটি দখলের চেষ্টা করছিলেন। গতকাল শনিবার তাঁরা ডোবাটি সেচকাজ করছিলেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেচকাজ করতে বারণ করে। এসময় থানার এএসআই খাইরুজ্জামান গ্রামের কয়েকজন নারীকে মারধর করেন।
রকেট হোসেন বলেন, ডোবাটি আমার নানা ওয়াজেদ আলীর। আমরা কেউই জমির সেচকাজে বাঁধা দিতে যাইনি।
বদলগাছি থানার এএসআই খাইরুজ্জামান বলেন, নারীরা আমাদের সামনে বাচ্চু নামে একব্যক্তিকে মারপিট করছিলেন। আমি থামাতে গেলে তাঁরা আমার মাথায় আঘাত করেন।