মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিতঃ ১৩ আগস্ট, ২০১৬  

মাগুরা প্রতিনিধি: সবজি ক্ষেতে ছাগল ঢোকায় মালতী রাণী নামে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকালে মাগুরা সদর উপজেলার কুকনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মালতী রাণী কুকনা গ্রামের রতন কুমার শীলের স্ত্রী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন নিয়ে প্রতিবেশী ভরত কুমারের সঙ্গে মালতী রাণীর আগে থেকেই বিবাদ ছিল। ভরত ও তার লোকেরা মালতীকে পশু-পাখি পালনে বাধা দিত। মালতী এ বিয়য়ে সদর থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয় ভরত। তার জের ধরেই সবজি ক্ষেতে ছাগল ঢোকায় মালতীকে নির্যাতন করা হয়।
মালতী রানী মালতী রানী জানান, ‘তার স্বামী রতন কুমার শীল স্থানীয় একটি সেলুনে কাজ করেন। সংসারে বাড়তি আর্থিক যোগানের জন্য তিনি হাঁস-মুরগি পালন করেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী ভরত কুমার প্রায়ই তাকে বকাঝকা করেন’।
তিনি অভিযোগ করে জানান, বিষয়টি এলাকার কয়েকজনকে জানালে ভরত কুমার তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লোক দিয়ে একটি গরু গোয়াল থেকে খুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মালতি মাগুরা সদর থানায় অভিযোগ করলে ভরত কুমার, স্বপন ঘোষ, রাজকুমার, উত্তম, নৃপেন, অসীমসহ অন্যরা তার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়। পাশাপাশি তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়’।
মালতী রানী বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে তার একটি ছাগল ভরত কুমার ঘোষের সবজি ক্ষেতে ঢুুকে পড়লে ভরত কুমার ও অন্যরা গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে মারধর করে। পরে বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশকে জানালে ভরত কুমার তার বাঁধন খুলে দেয়’। তবে ভরতসহ অন্যরা বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করলেও নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেন।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ভরত কুমার বলেন, ‘ মালতী রাণীকে শুধু মাত্র গাছে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাকে নির্যাতন করা হয়নি’।
এ বিষয়ে মাগুরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মালতিকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে’।
Malotiএ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তে মালতিকে গাছে বেঁধে রাখার সত্যতা মিলেছে বলে জানান সুদর্শন কুমার।