ছেলেকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা
প্রকাশিতঃ ১৮ এপ্রিল, ২০১৬
নিজস্বপ্রতিবেদকঃ নাটোর: পারিবারিক কলহের জের ধরে নাটোরের বড়াইগ্রামে ছেলে ফারদিন আহম্মেদকে (৪) গলাটিপে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মা সেলিনা বেগম (২৮)।সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের ভাণ্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, সাত বছর আগে ভাণ্ডারদহ গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে সেলিনা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল আলীমের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই আব্দুল আলীম ঢাকা বিমানবন্দরে চাকরি করতেন। চার বছর আগে তাদের ঘরে জমজ সন্তান ফারদিন ও তাহসিনের জন্ম হয়। সম্প্রতি তাদের পরিবারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিলে সেলিনা ও তার দুই ছেলেকে ভাণ্ডারদহ গ্রামে রেখে যান আব্দুল আলীম। কিন্তু আব্দুল আলীমের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সেলিনা বেগম। ফলে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সোমবার সকালে ফারদিনকে গলাটিপে হত্যা করে অপর ছেলে তাহসিনকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। পরে সেলিনা বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল আলীম বলেন, ‘বর্তমানে চাকরিতে ওভারটাইম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই বউ-ছেলেদের কিছু দিনের জন্য বাড়িতে রেখে এসেছিলাম। এর মধ্যে সেলিনা যে এমন ঘটনা ঘটাবে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেসোনারবাংলা৭১.কমকে জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সেলিনার বাবা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। প্রতিবেদন পেলে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।