মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালালো স্বামী

প্রকাশিতঃ ০৪ মার্চ, ২০১৬  

নিজস্বপ্রতিবেদকঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নববিবাহিতা 333-142-218x150 মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮দিকে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মৃত জান্নাতুল ফেরদৌস (১৮) পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকার রফিক শেখের মেয়ে। এ বছর শিমু রেজা এমপি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।

জান্নাতুল ফেরদৌসের মামা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দেড় মাস আগে উপজেলা সদরের বাদশা সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রতিশ্রুতি মতো টাকা ও জিনিসপত্র দেয়ার পরও সম্প্রতি তার শাশুড়ি ও ননদসহ স্বয়ং জান্নাতুলের স্বামী তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার শ্যামনগর হাসপাতালে তার ভাগ্নির মৃতদেহ ফেলে রফিকুলসহ বাড়ির লোকজন নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার পর অজ্ঞাত ফোন পেয়ে তারা হাসপাতালে পৌঁছে তার ভাগনিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. গোপাল বিশ্বাস সোনারবাংলা৭১.কমকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিহতের স্বামীসহ কয়েক জন নারী জরুরি বিভাগে এসে মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় নিহতের স্বামী পরিচয় দানকারী রফিকুল ইসলাম কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জানায় তারা বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে জান্নাতুল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে দড়ি ছিড়ে পড়ে যাওয়ার শব্দে তারা ঘরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। যদিও ডা. গোপাল বিশ্বাসের দাবি গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।