মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রেম নেই পরীমনির সঙ্গে শুধুই ঝগড়া…

প্রকাশিতঃ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬  

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান নায়কদের কথা আসলে শাকিব খানের পর যার নাম আসে তিনি সাইমন। চলচ্চিত্রে তার আগমন খুব বেশি দিনের না হলেও, ইতিমধ্যেই নিজের আলাদা দর্শক শ্রেণী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে নির্মাতারাও তার দিকে ঝুঁকছেন। শুক্রবার সাইমনের ক্যারিয়ারের এগারোতম চলচ্চিত্র হিসেবে প্রায় আশিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘পুড়ে যায় মন’ ছবিটি। চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন হালের নায়িকা পরী মনি। কথা হল সাইমনের সঙ্গে। ছবি তুলেছেন, সুমন ইসলাম আকাশ।

রথমবার পরীর সঙ্গে পর্দায় আপনার রসায়ন দেখছে দর্শক। জুটি হিসেবে নিজেদের সম্ভাবনা কেমন মনে করছেন?
জুটি হিসেবে কতটুকু সফল তা মূল্যায়ন করবে দর্শক। আমি শুধু বলতে পারি, আমাদের চেষ্টা ছিলো। তাছাড়া দর্শকেরও চাহিদা ছিলো। মুক্তি পায়নি তবু চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’ নিয়ে এ জুটির ব্যাপারে দর্শকের আলাদা আগ্রহ ছিলো।

পরীমনির সঙ্গে আপনার প্রেমের সর্ম্পক আছে বলে প্রায়ই বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যায়, এর সত্যতা কতটুকু?
(অট্টহাসি দিয়ে) প্রেম টেম কিছু নয়, ভালো সর্ম্পক বলতে পারেন। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। আর এ কারণে মাঝে মধ্যেই ওর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। তবে এক্ষেত্রে পরীই এগিয়ে থাকে। কারণ মেয়েরা একটু আধটু ঝগড়াটে স্বভাবের হয়েই থাকে। এক্ষেত্রে আমি কিছুটা সেক্রিফাইস করে থাকি।

বর্তমানে যৌথ প্রযোজনায় বিশেষত ওপার বাংলার সঙ্গে এক হয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এতে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক নায়িকাদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি ব্যতিক্রম কেন?
প্রথম কথা হচ্ছে আমি যৌথ প্রযোজনার বিরুদ্ধে নই। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ চলচ্চিত্রে আমার অভিনয় করার কথা ছিলো। এজন্য কলকাতাতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আমি করিনি। কারণ এতে সবার সমান সুযোগ ছিলো না। তাই নিয়ম নীতি মেনে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কেউ আমাকে নিতে চাইলে অবশ্যই কাজ করব।

আমাদের চলচ্চিত্র ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলেও, মুনাফা করতে পারছে না বলে প্রায়ই শোনা যায়। এর পেছনে মূল কারণ কী?
আমাদের চলচ্চিত্রে বতর্মানে প্রধান সমস্যা হলো বাজেট স্বল্পতা। মনে করেন একজন পরিচালক চিন্তা করলেন বিশাল সেট বানিয়ে ছবি নির্মাণ করবেন, কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। ফলে পরিচালকের চিন্তার প্রপার ইম্লিমেন্টেশন সম্ভব হয় না। তাছাড়া প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশসহ অন্যান্য সমস্যা তো রয়েছেই।

চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এই মুহূর্তে কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আপনি?
চলচ্চিত্রে বিনিযোগ বাড়াতে হলে সর্বপ্রথম চলচ্চিত্রের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। আমি তো দেখি আমাদের এখানে নেতিবাচক বিষয় নিয়েই বেশি নাড়াচাড়া হয়। অথচ একজন ব্যবসায়ি কিন্তু লাভবান হওয়ার জন্যই চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন।