বগুড়ায় আ’লীগ- শ্রমিকলীগ ও জাতীয়পার্টির ত্রিমুখি সংঘর্ষে শ্রমিকলীগ কর্মী নিহত –
প্রকাশিতঃ ০৮ জানুয়ারি, ২০১৬
বগুড়া: বগুড়ার সান্তাহারে আওয়ামী লীগ- শ্রমিকলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখি সংঘর্ষে শ্রমিকলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখনো থেমে থেমে চলছে। শ্রমিকলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় জাতীয়পার্টির নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ রাউন্ড টিয়ার সেল ও বেশ কিছু রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। বগুড়া শহর থেকে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হওয়ার জের ধরে এই সংর্ঘষের সুত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
নিহত শ্রমিকলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম (৩২) সান্তাহার পৌর শহরের চাবাগান এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম বাদশার ছোট ভাই।
স্থানীয়রা জানান, পৌর নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভোট বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করে আসছিলেন রাশেদুল ইসলাম রাজা। এ কারণেই তিনি পরাজিত হন বলে দাবী করছিলেন। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে শ্রমিকলীগ এবং আওয়ামী লীগের এক অংশের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার নিহত শফিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় জাতীয়পার্টির নেতা ফেরদৌস হাসান সুমনের বিরোধ হয়। এর জের ধরে দুপুর ১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আওয়ামী লীগের একটি অংশ জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ চলাকালে শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে বেলা ৩টার দিকে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা শহরের ডেইলী বাজার এলাকায় সুমনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে।
আদমদীঘি থানার ওসি শওকত কবির জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।